শুরুর ১৭ বলের মধ্যে ওপরের সারির দুই ব্যাটার সাব্বির রহমান ও লিটন দাস ফিরে আসেন সাজঘরে। স্কোর বোর্ডে তখন রান ২৬। চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে নিতে পারেনি প্রথম ১১ ওভার পর্যন্ত। ৭৭ রান তুলতেই আউট হন ৫ ব্যাটার। তখন মনে হয়েছিল স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হবে টাইগাররা।

কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৯ ওভারে যোগ করেন ৮১ রান। দুজনের দৃঢ়তায় স্বাগতিক বোলারদের চাপ সামাল দিয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করে সোহান বাহিনী। অধিনায়ক সোহান ২৫ বলে ২ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। কিন্তু চাপের মুখে পাহাড়সমান দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ৭৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন আফিফ।

গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সোহানের কণ্ঠে কিছু রান কম করার আক্ষেপ ছিল অবশ্য। তবে বোলার শরিফুল এবং মিরাজের প্রশংসা করেন এই অধিনায়ক। একই সাথে জানান আফিফ দুর্দান্ত খেলেছে, নিয়মিতই স্ট্রাইক রোটেট করে খেলেছে যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরোও পড়ুন:

বিয়ের পিড়িতে বসতে যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা

কানাডার ক্যালগেরিতে ড. খালেদ হাসানের স্মরণে দোয়া-মাহফিল

সোহান বলেন, ‘আমরা সম্ভাবত ১০-১৫ রান কম করেছি, পাওয়ার প্লেতে উইকেট তুলে নিতে না পারলেও ডেথ ওভারে শরিফুল এবং মিরাজ দারুণ বল করেছে। আফিফ দুর্দান্ত খেলেছে, নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করেছে যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

দুবাইয়ের মাঠে টসে জিতে সবাই ফিল্ডিং করার চিন্তা করেন, গতকাল সেই একই পথে হেঁটেছিল আরব আমিরাত। সোহান জানালেন রাতে মাঠে শিশিরের উপস্থিতি থাকায় দলের বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

সোহানের ভাষ্যে, ‘পাওয়ারপ্লেতে ওরা ভালো বল করেছে, আমরা তখন তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। বোলিংয়ের সময় শিশির ছিল আমাদের বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছিল।’